“চার ইমামের চার মাযহাবের কারণে বিভক্তি ছড়িয়ে পড়েছে, এজন্য চার ইমামকেই ছেড়ে দিতে হবে একতা রক্ষার জন্য।
আহলে হাদীস দাবিদারদের উক্ত দাবির বিষয়ে আপনাদের ব্যাখ্যা কাম্য।
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
এই ওয়াসওয়াসটিও একজন সাধারণ মুসলিমের মনে খুবই প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে। কুরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে সম্মক অবগতির অভাবে সাধারণ মুসলিমরা মুখরোচরক স্লোগানে বিভ্রান্ত হয়ে যান।
সুন্দর স্লোগানের আড়ালে এটি কতবড় মারাত্মক স্লোগান তা নিচে উদ্ধৃত করা হল। এ স্লোগান হিসেবে দ্বীন ও দ্বীনের সব কিছুকেই ছেড়ে দেয়ার মারাত্মক আহবান করা হয়ে থাকে। যথা- কুরআন ছেড়ে দেয়ার আহবান! চার ইমামের মাঝে মতভেদ হয়েছে, তাই চার মাযহাবই ছেড়ে দিতে হবে। খোলাসা দাঁড়াল, মতভেদ হলে পুরো বিষয়টিকেই ছেড়ে দিতে হবে। যদি তাই হয়, তাহলে এ লোকেরাই এক সময় বলতে থাকবে, কিংবা কুরআন অস্বিকারকারীদের সাথে সুর মিলিয়ে বলবে-
“কুরআনে কারীমের কিরাতের মাঝে মতভেদ আছে। সাত কিরাতে নাজিল হয়েছে কুরআন। এক কিরাতের সাথে আরেক কিরাতের রয়েছে পার্থক্য। এ মতভেদের কারণে একতা বিনষ্ট হওয়ায় কুরআন পরিত্যাজ্য (নাউজুবিল্লাহ)।
মুনকিরীনে কুরআনের সাথে সুর মিলিয়ে কথিত আহলে হাদীসরা কোন দিন জানি উপরোক্ত দাবি করে বসেন আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন। হাদীস ছেড়ে দেয়ার আহবান! এই মুখরোচক স্লোগানটি হাদীস অস্বিকার করার দিকেও দাওয়াত দিচ্ছে। মতভেদ হলে যদি পুরো বিষয় বাদ হয়ে যায়। এটিই যদি হয় মূলনীতি। তাহলে আহলে কুরআনদের সাথে গলা মিলিয়ে হাদীস অস্বিকার করে একদিন হয়তো কথিত আহলে হাদীসরা ঘোষণা দিয়ে দিবে হাদীসে মতভেদ আছে তাই হাদীস পরিত্যাজ্য! (নাউজুবিল্লাহ)
কারণ আহলে ইলম বলতেই জানেন যে, অসংখ্য হাদীস একটি অপরটির বিপরীত। অসংখ্য হাদীস রয়েছে যার শব্দ অন্য হাদীসের শব্দের সাথে মিলে না। এক হাদীসে এক শব্দ আরেক হাদীসে এসেছে ভিন্ন শব্দ। এক হাদীসে আমীন জোরে বলার কথা এসেছেতো, আরেক হাদীসে আমীন আস্তে বলার কথা এসেছে। এক হাদীসে দাঁড়িয়ে পেশাব করার কথা এসেছেতো আরেক হাদীসে বসে পেশাব করার কথা এসেছে। এক হাদীসে কালো কুকুর দেখলেই হত্যা করার কথা আসলেও আরেক হাদীসে হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এরকম বিরোধপূর্ণ হাদীস রয়েছে অসংখ্যা। যা তিরমিজী, নাসায়ী, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাসহ হাদীসগ্রন্থগুলোর দিকে তাকালেই প্রমাণ পাওয়া যাবে।
মতভেদ থাকলে সবাইকে বাদ দিয়ে দিতে হলে হাদীসের শব্দে, বর্ণনায় বিরোধ থাকায়, মতভেদ থাকায় সকল হাদীসকেই অস্বিকার করা যুক্তিটি খাড়া করা কথিত আহলে কুরআনদের জন্য অযৌক্তিক হয়ে দাঁড়ায় কি? তাহলে কথিত আহলে হাদীস আর কথিত আহলে কুরআন দল একই স্তরে দাঁড়িয়ে যায়। মতভেদ হলেই উক্ত বিষয়টি বাদ। যেহেতু হাদীসে মতভেদ তাই হাদীসও বাদ। তাহলে রইল কি? সাহাবায়ে কেরামকে ছেড়ে দেয়ার আহবান তিরমিজী, নাসায়ী, আবু দাউদ, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকসহ মুসান্নাফ ও মুসনাদ গ্রন্থগুলো ঘেঁটে দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, মতভেদ ছিল মূলত সাহাবায়ে কেরামের মাঝে। সেই মতভেদের উপর ভিত্তি করেই চার ইমামের মাঝে মতভেদ তৈরী হয়েছে।
এখন শিয়াদের মত কথিত আহলে হাদীসরাও বলতে থাকবে যে, সাহাবায়ে কেরামের মাঝে মতভেদ হয়েছে, সুতরাং সবাই পরিত্যাজ্য? নাউজুবিল্লাহ।
মতভেদ হলেই সবাই পরিত্যজ্য থিউরীতে সাহাবায়ে কেরাম সবাই অগ্রহণযোগ্য এবং পরিত্যাজ্য হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে যায় না? উসূলে হাদীস ছেড়ে দেয়ার আহবান জরাহ তাদীলের ইমামগণ হাদীসের রাবীদের জীবনী আলোচনা করে তাদের ব্যাপারে প্রশংসা এবং সমালোচনা করেছেন। একজন রাবীকে এক ইমাম সিকা তথা বিশ্বস্ত বলেছেন, আরেকজন উক্ত রাবীকেই মিথ্যুক বলেছেন। একজন এক হাদীসকে সহীহ বলেছেন, আরেকজন উক্ত হাদীসকে জঈফ বলেছেন।
এরকম ভুরি ভুরি উদাহরণ দেয়া যাবে জারাহ তাদীলের কিতাব থেকে। যা উসূলে হাদীসের সর্বনি¤েœর ছাত্র মাত্রই জানেন।
মতভেদ হলেই পুরো বিষয় পরিত্যাজ্য হলে উসূলে হাদীস মানাটাও পরিত্যাজ্য বলে সাব্যস্ত হয়ে যায়। সুতরাং কোন হাদীসকে সহীহ বা জঈফ বলার অধিকার কারো থাকে? এ থিউরীর পরিণতি উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা একথা আশা করি পরিস্কার হয়ে গেছে যে, মুখরোচক স্লোগানটি কতটা ভয়াবহ এবং মারাত্মক ও ঈমান বিধ্বংসী।
এক থিওরী দিয়েই কুরআনকে পরিত্যাজ্য, হাদীসকে পরিত্যাজ্য, সাহাবায়ে কেরামকে পরিত্যাজ্য এবং উসূলে হাদীসকে পরিত্যাজ্য সাব্যস্ত করিয়ে দিচ্ছে।
তাহলে কুরআনহীন, হাদীসহীন, সাহাবাহীন এ কোন মাযহাবের দিকে ডাকছে নামধারী আহলে হাদীসরা?
আসলে মাযহাব ছেড়ে দিয়ে মনপূজা, আর খাহেশাত পূজার দিকে ডাকার আহবান করছে সুন্দর স্লোগানের আড়ালে। সরল প্রশ্ন! চার ইমাম দ্বীনকে যদি বিভক্তই করে থাকেন। যদি টুকরো টুকরো করে ফিতনার উদ্ভবই করে থাকেন। তাহলে কথিত আহলে হাদীসদের কাছে আমাদের সরল একটি প্রশ্ন রইল-
চার মাযহাব সংকলনের অনেক পর সিহাহ সিত্তাসহ অন্যান্য প্রসিদ্ধতম হাদীসগ্রন্থগুলো সংকলিত হয়েছে। ১২৪৬ হিজরীতে ইংরেজ রানী ভিক্টোরিয়ার কাছ থেকে আবেদন করে রেজিষ্টার করিয়ে কথিত আহলে হাদীস দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে অসংখ্য ফক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাক্কিরে ইসলাম, বুজুর্গানে দ্বীন ও সালাফে সালাহীন অতিক্রান্ত হয়েছেন। প্রশ্ন নং-১
ইংরেজ আমলে সৃষ্ট কথিত আহলে হাদীসদের আগে পূর্ববর্তী কোন মুহাদ্দিস, ফক্বীহ বা মুফাক্কিরে ইসলাম কি চার মাযহাব মানাকে শিরক ও মাযহাবকে দ্বীনের বিভক্তি বলে মন্তব্য করে গেছেন? প্রশ্ন নং-২ মাযহাব প্রচলিত হওয়ার পর সংকলিত কোন একটি হাদীসের কিতাবে কি মাযহাবের বিরুদ্ধে কোন একটি অধ্যায় বা পরিচ্ছেদ কায়েম করা হয়েছে? যদি কোন হাদীসের কিতাবে মাযহাবের বিরোধিতা করে, বা মাযহাবকে দ্বীনের বিভক্তি বলে মন্তব্য করা হয়ে থাকে, তাহলে রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করুন।
বরং আমরাতো এর উল্টোটাই দেখতে পাই-
১। ইমাম বুখারী i শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
সুত্রঃ নবাব ছিদ্দিক হাসান খান লিখিত আবজাদুল উলুম পৃষ্ঠা নং ৮১০, আলহিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৮৩।
শাহ ওয়ালিউল্লাহ i লিখিত আল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৬৭।
আল্লামা তাজ উদ্দীন সুবকী i লিখিত ত্ববকাতুশ শাফেয়ী পৃষ্ঠা নং ২/২।
২। ইমাম মুসলিম i শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
সুত্রঃ ছিদ্দিক হাঃ খান লিখিত আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।
৩। ইমাম তিরমিজী নিজে মুজ্তাহিদ ছিলেন। তবে হানাফী ও হাম্বলী মাজহাবের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।
সুত্রঃ শা ওয়ালিউল্লাহ i লিখিত আল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৭৯।
৪। ইমাম নাসাঈ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী ছিলেন।
সুত্রঃ নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান লিখিত আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৯৩।
৫। ইমাম আবুদাউদ i শাফেয়ী।
সুত্রঃ আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।
আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী i ইবনে তাইমিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে ফয়জুল বারী ১/৫৮ তে ইমাম আবুদাউদ i কে হাম্বলী বলে উল্লেখ করেছেন।
৬। ইমাম ইবনে মাজাহ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
সুত্রঃ ফয়জুল বারী ১/৫৮।
এ গেল ছিহাহ ছিত্তার ইমামগণের মাজহাব।
অন্যান্য ইমামগণের মাজহাব নবাব ছিদ্দীক হাসান খান সাহেবের আল-হিত্তা থেকে।
৭। মিশকাত শরিফ প্রণেতা শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৫
৮। ইমাম খাত্তাবী i শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৫
৯। ইমাম নববী i শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৫
১০। ইমাম বাগভী i শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৮
১১। ইমাম ত্বহাবী হাম্বলী, পৃঃ১৩৫
১২। বড় পীর কাদের জিলানী i হাম্বলী, পৃঃ ৩০০
১৩। ইমাম ইবনে তাইমিয়া হাম্বলী, পৃঃ ১৬৮
১৪। ইবনে কায়্যিম i হাম্বলী, পৃঃ ১৬৮
১৫। ইমাম ইবনে আব্দিল বার i মালেকী, পৃঃ ১৩৫
১৬। ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দেসে দেহলবী i হানাফী, পৃঃ ১৬০
১৭। শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী i হানাফী, পৃঃ ১৬০-১৬৩
১৮। ইমাম ইবনে বাত্তাল i মালেকী, পৃঃ ২১৩
১৯। ইমাম হালাবী i হানাফী পৃঃ ২১৩
২০। ইমাম শামসুদ্দীন আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুদদায়েম i শাফেয়ী, পৃঃ ২১৫
২১। ইমাম বদরুদ্দীন আঈনী i হানাফী, পৃঃ ২১৬
২২। ইমাম যারকানী i শাফেয়ী, পৃঃ ২১৭
২৩। ইমাম ক্বাজী মুহিব্বুদ্দীন হাম্বলী, পৃঃ ২১৮
২৪। ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী, পৃঃ ২১৯
২৫। ইমাম বুলকিনী শাফেয়ী, পৃঃ ২১৯
২৬। ইমাম মার্যুকী মালেকী পৃঃ ২২০
২৭। ইমাম জালালুদ্দীন বকরী শাফেয়ী, পৃঃ২২০
২৮। ইমাম কাস্তাল্লানী শাফেয়ী, পৃঃ ২২২
২৯। ইমাম ইবনে আরাবী মালেকী, পৃঃ ২২৪
এমন কি তাদের মডেল আব্দুল ওয়াহ্হাব নজদীকে ও হাম্বলী বলে উল্লেখ করেছেন নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান তার আল-হিত্তাতু ফিস সিহাহিস সিত্তাহ’র ১৬৭ পৃষ্ঠায়।
ইমাম তাহাবী i ছিলেন হানাফী i এর অনুসারী। যা তার সংকলিত তাহাবী শরীফ পড়লেই যে কেউ বুঝতে পারবে। কথিত আহলে হাদীস ভাইয়েরা নিজের ঘরের খবর নিন! নিজের মাযহাব ছেড়ে দিন!
চার মাযহাবে মতভেদ হওয়ার কারণে মাযহাব অনুসরণই ছেড়ে দেয়ার মুখরোচক স্লোগান দিয়ে বেড়াচ্ছেন কথিত আহলে হাদীস ভাইয়েরা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, নিজেদের হাড়ির খবর কাউকে প্রকাশ করছেন না। মতভেদ হলেই পুরো বিষয়টি পরিত্যাজ্য হলে কথিত আহলে হাদীসী মাযহাব মানাও পরিত্যজ্য মতবাদ হিসেবে সাব্যস্ত হয়।
কথিত আহলে হাদীসদের মাঝে পরস্পরে মাসআলা নিয়ে কী পরিমাণ মতভেদ ও মতানৈক্য রয়েছে তা তাদের সংকলিত কিতাবের দিকে একটু নজর বুলালেই পরিস্কার হয়ে যাবে। দেখুন-
১-ফাতাওয়া সানাবিয়্যাহ।
২- ফাতাওয়া সেতারিয়া।
৩- ফাতাওয়া উলামায়ে আহলে হাদীস।
৪- ফাতাওয়া নজীরিয়া।
৫- আরফুল জাদী।
৬- নুজুলুল আবরার।
৭- ফাতাওয়া আহলে হাদীস।
৮- লুগাতুল হাদীস।
৯- ফাতাওয়া বারকাতিয়া।
ইত্যাদি।
শুধু তাই নয় কুরআন ও সহীহ হাদীসের একতার স্লোগানের আড়ালে কথিত আহলে হাদীসরা উম্মাতের মাঝে কী পরিমাণ বিভক্তি করছে, তার একটি চিত্র দেখুন-
বাংলাদেশ আহলে হাদীস যুব সংঘের সভাপতি মুযাফফর বিন মহসিন সাহেব অনেক হাহাকার আর মনোকষ্ট নিয়ে গ্রন্থ লিখেছেন “গভীর ষড়যন্ত্রের কবলে আহলে হাদীস আন্দোলন”।
যা প্রকাশিত হয়েছে আছ ছিরাত প্রকাশনী থেকে।
সেই ছোট্ট পুস্তিকাটির পাতায় তিনি তাদের যে অসংখ্য দল আর বিভক্তির ফিরিস্তি দিয়েছেন তার একটি তালিকা-
১
জমিয়তে আহলে হাদীস আন্দোলন
২
আহলে হাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ।
৩
আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম। -পৃষ্ঠা-৭
৪
আহলে হাদীস যুব সংঘ। -পৃষ্ঠা-৬
৫
জমিয়তে শুব্বানে আহলে হাদীস। -পৃষ্ঠা-৬
৬
জামাআতে গুরাবায়ে আহলে হাদীস।(পৃষ্ঠা-২০)
৭
অলইন্ডিয়া আহলেহাদীস কনফারেন্স। -পৃষ্ঠা-২০
৮
আঞ্জুমানে আহলে হাদীস বাঙ্গলা ও আসাম। -পৃষ্ঠা-২০
৯
নিখিল বঙ্গ ও আসাম জমিয়তে আহলে হাদীস। -পৃষ্ঠা-২০ আমাদের প্রশ্ন হল এ অসংখ্য দল কেন সৃষ্টি হল?
কোন মাযহাবের অনুসরণের কারণে সৃষ্টি হয়েছে?
এসব নাম কুরআন ও সহীহ হাদীসের কোথায় এসেছে?
এসব দলের মাঝে কোন দলটি জান্নাতী দল?
এভাবে দল গঠণ করে উম্মাতের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করা কুরআনের কোন আয়াত বা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত? মাযহাব মানলেতো হয়তো চারটি দল হতো (যদিও উপমহাদেশে একটাই মাযহাব প্রচলিত সেটি হল হানাফী মাযহাব, তাই এখানে বিভক্তির আসলে কোন সুযোগই নেই) ছেড়ে দিয়ে অসংখ্য ফিরক্বা ও মতভেদে বিভক্ত কথিত আহলে হাদীসদের মুখে আজ শুনতে হচ্ছে একতার স্লোগান।
এরকম ধোঁকাবাজদের হাত থেকে সরলপ্রাণ মুসলিমদের আল্লাহ তাআলা হিফাযত করুন।
- والله اعلم باالصواب -